প্রথম পার্ট: ছোটদের রূপকথার গল্প সাহসী বালক
দ্বিতীয় পার্ট: ছোটদের কাল্পনিক গল্প সাহসী বালক পার্ট ২
তার ঘাড় বেয়ে ঘাম পরতে লাগল। এমন মুহূর্তে মাঝে মাঝেই সে কোনো না কোনো উপায় বের করে ফেলে। এমন সময় তার মাথায় এক বুদ্ধি এল।
সে তার হাতের মশালটি বাঁ পাশের গুহার দিকে ছুড়ে ফেলল। মশালটি হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেল। তখন সে বুঝতে পারল সে কোনো এক রুপকথার মজার গল্প এর জাদুর নগরীতে এসে পরেছে। সে বুঝে ফেললে ডান দিকের পথটিই সঠিক পথ। সে ডান দিকের গুহা ধরে চলতে লাগল।
চার পাশটা অনেক অন্ধকার। মশাল না থাকায় অন্ধকারে কিছু দেখা যাচ্ছে না। তবুও সে অন্ধকারের ভিতর তা পথ আদাজ করে চলতে লাগল।
কিছুক্ষণ হাঁটার পর সে অল্প আলোর ঝলক দেখতে পেল। সে আলো লক্ষ্য করে আরও দ্রুত চলতে লাগল। আলোও ধীরে ধীরে বাড়তে লাগল। একসময় সে গুহার বাইরে চলে এল।
গুহার ওপর পাশে অনেক সুন্দর একট ঝরনা। সে হাঁটতে হাঁটতে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। সে ঝর্ণার পাশে এসে বসল। সে ঝর্না থেকে পানি খেল। পানি খাওয়ার পর তার সকল ক্লান্তি দূর হয়ে গেল।
সে বুঝতে পারল যে, ঝরনাটি কোনো সাধারণ ঝরনা নয়। এটি হলো জাদুর ঝরনা। সে ঝরনার পানিতে গোসল করে।
সে গোসল করার পর পানিতে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেয়ে নিজেকেই চিনতে পারল না। সে আগের তুলনায় অনেক সুন্দর হয়ে গিয়েছে। তাকে রাজকুমারের মত দেখাছে।
এখন প্রায় রাত হয়ে গেছে। সে রাতটা ঝরনার পাশেই কাটাবে বলে ঠিক করলো। সে রাতটা তার ভালোমতোই কাটল। পরদিন ভোরে উঠে সে চলা শুরু করল।
কিছুক্ষন হাঁটার পর সে এক নদীর পাড়ে এসে পোঁছেল। নদীটা বেশি প্রশস্ত নয়। নদীর ওপারে রুপকথার ছোট গল্প এর বাগান দেখা যাচ্ছে। বালকের মন খুশিতে ভরে উঠল। তার এতদিনের কষ্ট সার্থক হয়েছে।
তবে তার সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাটি এখনও বাকি রয়েছে। নদীতে রয়েছে বড় বড় ক্ষুধার্থ কুমির। সে কুমিরগুলোকে দেখে ভয় পেয়ে গেল। তবে কিছুক্ষণ পরে সে নিজেকে ঠিক করে নি। আবার আগের মতো সাহসী হয়ে গেল।
সে ভাবতে লাগল, কিভাবে নদীটি পার হওয়া যায়। কিভাবে ওপারে পৌছা যায়? সে অনেক চিন্তা করার পরও কোনো উপার খুঁজে পেল না।
হটাত নদী হতে এক জলপরী উঠে এল। জলপরীকে দেখে বালুকটি খানিকটা বিস্মিত হন। জলপরী বালকটি সম্পর্কে সব জানে, সে এও জানে কী উদ্দেশ্যে বালকটি এই রূপকথার বাগানে এসেছে।
জলপরী বালকটিকে বলল- তুমি যদি চোখ বন্ধ করে নদীর উপর দিয়ে হাঁটতে শুরু করো, তাহলে তুমি চোখ খুলে দেখাবে নদীর অপর পাড়ে পৌঁছে গেছ। তবে কোনো ভয় পাওয়া চলবে না। ভয় পেলে অথবা চোখ খুললেই কুমিরগুলো তোমাকে আক্রমন করবে। তোমাকে সাহসী থাকতে হবে। এই নদী অগভীর। তুমি সহজই পাড় হতে পারবে। তোমার মতো অনেকেই এখানে এসে নদী পার হতে পারনি।
এসব বলার পর হঠাৎ করেই জলপরী চলে গেল। বালকটি চার পাশে তাকিয়ে তাকে খুঁজল, তবে খুঁজে পেল না।
সে চোখ বন্ধ করে নদীতে নামল। সে থামছে না। তবুও সে ভয় পাচ্ছে না। তার পাশ দিয়ে কুমির সাঁতার কেটে যাচ্ছে। সে নদীর প্রায় মাঝখানে এসে পরেছে।
তার বুকমান পানি। একটা কুমির তাকে ধাক্কা দিল। সে পানিতে পরে গেল। সে জলপরীর কথামতো ভয় পেল না। কুমিরটা তার পাশ দিয়ে চলে গেল। তার কোনো ক্ষতি করল না।
সে নদীর পাড়ের কাছাকাছি এসে পরেছে। সে নদী থেকে পাড়ে উঠল। তার সামনেই রূপকথার বাগান। সে সম্পূর্ণ ভিজে গেছে। তার সেদিকে খেয়াল নেই।
সে অবাক দৃষ্টিতে বাগানের দিকে তাকিয়ে রইল। বাগানের এক জায়গায় তার চোখ আটকে গেল্প। সে দেখল বাগানের সব ফলের রঙই লাল। কিন্তু শুধু অমৃত ফল্টির রঙই তো লাল হওয়ার কথা। তাহলে কোনটি আসল ফল।
মন্ত্রী তাকে বলেছিল- ভুল ফল ছিরলে সে মারা যাবে। সে ভীষণ চিন্তায় পরে গেল। এমন এময় এক অপূর্ব সুন্দরী পরী তার কাছে আসলো।
পরবর্তী পার্টের জন্য অপেক্ষা করুন
পরবর্তী পর্ব পড়তে চাই।।।
কবে আসবে জানাবেন প্লিজ।
Coming soon.