সাহসী বালক পার্ট ২ | ছোটদের গল্প রূপকথার গল্প

প্রথম পার্ট পড়ুন: ছোটদের রূপকথার গল্প সাহসী বালক ১ম পার্ট

রূপকথার গল্প বাংলা


বালকটি রাত্রের জন্য সেই বাড়িতে থাকল। পরদিন সে আবার তার লক্ষ্যের উদ্দেশ্য রওনা হয়। সে জঙ্গল যত অতিক্রম করে জঙ্গল তত গভীর হতে লাগল। সে সারাদিন জঙ্গলের পথ দিয়ে অনেক্ষন হাঁটল। সে অনেকটা পথ অতিক্রম করে এসেছে।

সে দেখল সামনে তার সামনে আর পথ নেই। এতে সে কিছুটা বিচলিত হল। সে কি পথ হারিয়ে ফেলেছে? আকাশও অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে।

সে বুঝল যে, আজ আর চলা যাবে না। সে আশেপাশে আশ্রয় নেওয়ার মতো জায়গা খুঁজতে লাগল। কিন্তু সে আশেপাশে আশ্রয় নেওয়ার মত কোনো জায়গা খুঁজে পেল না।

আকাশে ক্রমাগত মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে। পরিবেশটাও কেমন জানি ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। যেকোনো সময় তুফান শুরু হয়ে যেতে পারে। তাকে তাড়াতাড়ি কোনো আশ্রয় খুঁজে বের করতে হবে। সে তার পাশের একটা গাছে সে রাতটার জন্য আশ্রয় নিল।

রাত হয়ে গেছে। প্রচন্ড ঝড়-তুফান। আনক ছোটো গাছ ভেঙে পরেছে। ভাগ্যিস সে বড় একটা গাছের ডালে আশ্রয় নিয়েছে। তবুও সে তুফানের ঝাপটায় খানিকটা ভিজে গেল। সে কোনোমত সে রাতটা কাটাল।

পরেরদিন সকালে সে উঠার পর দেখে তুফানের ঝাপটায় জঙ্গলটা প্রায় তছনছ হয়ে গেছে। অনেক গাছ ভেঙে পরেছে। চারদিকে গাছের পাতা ও পানি মিশে একাকার। ঝড়ও এখন এ আর নেই।

সে আবার চলা শুরু করল। তাকে এবার পথ খুজে পেতে বেশি কষ্ট করতে হলো না। কয়েক ঘন্টা চলার পর জঙ্গলের শেষ প্রান্তে এসে পৌছাল।

তার চারপাশে বড় বড় পাহার। জঙ্গলের এই দিকটায় কেউ সহসা আসা-যাওয়া করে না। কিছু দূরেই সে উপত্যকা দেখতে পেল। সে দৌড়ে উপত্যকার কাছে যেতে চাইল । কিন্তু তার শরীর অনেক ক্লান্ত। তাই সে হেঁটেই রওনা হলো।

উপত্যকা বেশি দূরে নয়। দেখে ৫ মিনিটের পথ মনে হলো তার। সে হাঁটতে লাগল । এই উপত্যকটা বালুময় মরুভূমির মতো। রোদে সে আরো ক্লান্ত হয়ে গেল। তবুও সে হাঁটা থামাল না।

প্রায় ১০ মিনিট হাঁটার পরও সে উপত্যকার মাঝের গুহার কাছে পৌছল না। সে দেখল যে, সে আগের জায়গাতেই রয়েছে। ঠিক যেখানে সে ১০ মিনিট আগে ছিল! সে কিছুটা আশ্চর্যান্বিত হলো। সে ভাবল, এ কিভাবে সম্ভব? কিছুক্ষন আগেই তো সে এই জায়গায় ছিল।

প্রচন্ড এই রোদে মরুভূমিতে দাড়িয়ে থাকাও কষ্টকর। সে পিছে তাকিয়ে বনটি আর দেখতে পেল না। সে একটু ভয় পেল। তাকে ঘিরে ধরল এই মরুভূমিতে হারিয়ে যাবার ভয়।

তার হঠাতই এক কথা মনে পরল। সে তো আসার সময় বড় রশি নিয়ে এসেছে। এই রশি নিয়ে তার মাথায় এক বুদ্ধি এল।

সে আবার গুহার উদ্দেশ্যে হাঁটতে লাগল আর মরুভুমির উপর রশি ফেলতে লাগল। ১০ মিনিট হাঁটার পর সে আগের বারের মতোই আগের জায়গায় ফিরে আসল। কিন্তু রশি মরুভূমির উপর পরে রয়েছে।

সে রশি অনুসরণ করে হাঁটতে লাগল। কিছুক্ষন পর সে গুহার কাছে পৌছে গেল। সে গুহার ভিতরে প্রবেশ করল। গুহার ভিতরে সে কিছুক্ষনের জন্য বিশ্রাম নিল।

তার পর সে গুহার পথ ধরে হাটতে লাগল । অন্ধকারে গুহার ভিতরটা ভালোমতো দেখা যাচ্ছে না। সে যতই এগোতে লাগল, ততই গুহা অন্ধকারচ্ছন্ন হতে লাগল। এই আবছা অন্ধকারের মধ্য দিয়ে কিছুদূর হাটার পর সে তার সামনে দুইটা পথ দেখতে পেল।

অন্ধকারের জন্য পথ দুইটা ভালোমতো দেখা যাচ্ছে না। সে ভেবে পেল না, তার কোন পথ দিয়ে যাওয়া উচিত। পথ ২টি দেখতে একই রকম। পথ দুইটার সামনে কোনো চিহ্ন বা সংকেত নেই। কোনো সংকেত থাকলে সে হয়তো সঠিক পথটি চিনতে পারত।

সে তার সামনের অজানা বিপদের কথা ভেবে ঘাবরে গেল। রুপকথার গল্পের মতো ভুল পথে গেলে তার সাথে কি খারাপ কিছু ঘটতে পারে। সে এসবই চিন্তা করতে লাগল।

তৃতীয় পার্ট: রূপকথার বাংলা গল্প সাহসী বালক পার্ট ৩

Check Also

ছোটদের গল্প রূপকথার গল্প | সাহসী বালক পার্ট ৩

প্রথম পার্ট: ছোটদের রূপকথার গল্প সাহসী বালক দ্বিতীয় পার্ট: ছোটদের কাল্পনিক গল্প সাহসী বালক পার্ট ২ তার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *